কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও পর্তুগালের মতো প্রভাবশালী পশ্চিমা দেশগুলোর ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির ঘটনাকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের পক্ষে। ফিলিস্তিনের জনগণের ন্যায্য অধিকার ও স্বাধীনতার দাবিতে আমরা সবসময় সমর্থন জানিয়ে এসেছি। তাই চার দেশের এই স্বীকৃতি নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ এবং ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য সুখবর।”
তিনি আরও বলেন, “যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগালের স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে দেড়শোরও বেশি দেশের প্রত্যক্ষ সমর্থন পেল স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনিরা। তবে স্বাধীনতার সংগ্রাম এখানেই শেষ নয়, তাদের সামনে এখনো দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে।”
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, বিশ্বের আরেক প্রভাবশালী দেশ ফ্রান্স শিগগিরই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। যদি তা হয়, তবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্যের মধ্যে চারটির স্বীকৃতি পাবে ফিলিস্তিন, যা আন্তর্জাতিক পরিসরে বিরাট অর্জন হিসেবে বিবেচিত হবে।
৭৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি আগ্রাসন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের মানুষ আজও স্বাধীনতার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে কানাডা, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য দেশের মধ্যে এখন ১৫১টি দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে সমর্থন জানালো।
কূটনৈতিক মহল মনে করছে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আসন্ন অধিবেশনে গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসন ও ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হতে পারে।
0 Comments