গ্রেপ্তারকৃত আল–আমিন/সংগৃহীত
গত ১৪ জুলাই দুপুরে “আনোয়ারা” নামের একটি আবাসিক হোটেলের পাঁচতলার একটি কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ।
পিবিআই জানিয়েছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম আল–আমিন (৩৪)। গতকাল শুক্রবার গাজীপুরের টঙ্গী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আল-আমিন আজ শনিবার (১৯ জুলাই) হত্যা ও ধর্ষণের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ঘটনায় সাদ্দাম নামের আরেকজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আল-আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে পিবিআই জানিয়েছে, ১২ জুলাই রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে ১২ বছর বয়সী ওই শিশুটির সঙ্গে আল-আমিন ও সাদ্দামের পরিচয় হয়। বরিশাল যাওয়ার ট্রেন কখন ছাড়বে তাদের কাছে জানতে চায় শিশুটি। তখন শিশুটিকে তারা জানান, বরিশালে ট্রেন যায় না। একপর্যায়ে শিশুটি তাদের জানায়, সে এক দিন ধরে কিছু খায়নি। পরে তারা শিশুটিকে খাবার ও জুতা কিনে দেয়। সন্ধ্যায় শিশুটিকে যাত্রাবাড়ীর একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যায় তারা। রাতে দুজন মিলে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। এতে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। সকালে আবারও ধর্ষণ করতে চাইলে শিশুটি বাধা দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা বেল্ট দিয়ে পিটিয়ে শিশুটিকে হত্যা করে।
পিবিআই জানিয়েছে, ময়নাতদন্ত শেষে শিশুটির মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। তার পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
0 Comments