Header Ads Widget

ঢাকা-১৯: কার হবে চূড়ান্ত টিকিট?

 


ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল এখনও ঘোষণা না হলেও ঢাকা-১৯ (সাভার) আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচারণা ইতোমধ্যেই জমে উঠেছে। বিশেষ করে বিএনপির চারজন মনোনয়নপ্রত্যাশী নিয়মিত মাঠে অবস্থান করছেন। পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী, এনসিপি (জাতীয় নাগরিক পার্টি) ও কয়েকটি বাম দলের প্রার্থীরাও সক্রিয়ভাবে প্রচারণায় নেমেছেন।এ আসনে রাজনৈতিক কর্মীদের তৎপরতা এখন শুধুমাত্র কেন্দ্রেই সীমাবদ্ধ নয়—নেতা-কর্মীরা ঘরে ঘরে গিয়ে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেনঢাকা-১৯ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৭ লাখ ৪৬ হাজার ৯৪৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৪৭৫ ও নারী ভোটার ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৪৭২ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১৩ জন। এই আসনটি ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার শিমুলিয়া, ধামসেনা, পাথালিয়া, ইয়ারপুর, আশুলিয়া, বিরুলিয়া, বনগাঁও ইউনিয়ন এবং সাভার ইউনিয়ন ও সাভার পৌরসভা নিয়ে গঠিত।ঢাকা-১৯ আসনে বিএনপির চারজন মনোনয়নপ্রত্যাশী সক্রিয়ভাবে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তাদের মধ্যে 

ডা. দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বাবু 

– বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং বর্তমানে নিয়মিত উঠান বৈঠক, পথসভা ও গণসংযোগ চালাচ্ছেন।রাশেদুল আহসান রাশেদ সাবেক ছাত্রদল নেতা ও জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। এলাকায় প্রচারণার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে সক্রিয় থেকে নিজেকে ‘পরিবর্তনের মুখ’ হিসেবে উপস্থাপন করছেন।

মোহাম্মাদ আইয়ুব খান 

ঢাকা জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক। নিজেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে মাঠপর্যায়ে তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে মতবিনিময় করছেন, বাজার-মসজিদে প্রচারণা চালাচ্ছেন। জানান, তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে নিরালস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে 

নামেই যার পরিচয়। ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা বর্তমান যুবদলের ঢাকা জেলার সাধারণ সম্পাদক জনাব আইয়ুব খান। যোগ্য সংগঠক, কর্মীবান্ধব, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আইয়ুব খান ঢাকা-১৯ সংসদীয় আসনের সাধারন জনগনের আস্থার আশ্রয়স্থল, সাভার-আশুলিয়ার সিংহপুরুষ জাতীয়তাবাদী দল বি.এন.পি পরিবারের এক যোদ্ধা। যিনি দলের দুর্দিনে রাজপথে ছিলেন সোচ্চার এবং অভিভাবকের আসনে অবতীর্ন হয়ে আগলে রেখেছেন নেতাকর্মীদেরকে। তিনি বিভিন্ন সময়ে নিজ উদ্দোগে সাভার আশুলিয়ার দরিদ্র পরিবারের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছেন।

‎সুশিক্ষিত জনাব আইয়ুব আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের ডেন্ডাবরের কৃতিসন্তান। আওমীলীগের এমপি সাইফুল ইসলামের ভোটব্যাংক খ্যাত ধামসোনার বহিরাগত ও ভাড়াটিয়া ভোট নিশ্চিত করতে পারলে বিএনপি থেকে চমক দেখাতে পারেন আইয়ুব ভাই নামে পরিচিত জনাব আইয়ুব খান।

জামাল সরকার 

সাভার উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। নিজেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরছেন এবং বিভিন্ন দলীয় সভা-সমাবেশে অংশ নিচ্ছেন।

স্থানীয় বিএনপি নেতারা মনে করেন, ‘মনোনয়ন যেই পাক, দরকার ঐক্য। এ আসনটি পুনরুদ্ধারে প্রয়োজন অভিজ্ঞ, পরিচ্ছন্ন ও গ্রহণযোগ্য নেতৃত্ব।’

ঢাকা জেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক মো. আফজাল হোসাইনকে

 একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে দলটি। তিনি ধর্মীয় অঙ্গনে সুপরিচিত। ইতোমধ্যে ইমাম, খতিবসহ ধর্মীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময়, হাটবাজারে প্রচারণা এবং ধর্মীয় সভায় অংশ নিচ্ছেন।জেলা আমিরের মতে, ‘আমাদের প্রার্থী সৎ ও নীতিবান। ভোটাররা সৎ রাজনীতিকেই সমর্থন করবেন।’

এনসিপির একজন সম্ভাব্য প্রার্থী ইতোমধ্যে নিজস্ব কর্মী নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে প্রচারণা শুরু করেছেন। একইভাবে বাম জোটের অন্তত দুটি দল শ্রমজীবী ও নিম্নআয়ের মানুষের সমস্যা তুলে ধরে বিকল্প রাজনীতির কথা বলছেন।

এক বাম নেতা জানান, ‘আমরা চা দোকান, হাট-বাজার, ফেসবুক লাইভ, মসজিদে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময়—সব মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে সংযোগ রাখছি।’

বামপন্থী ও এনসিপির কর্মীরা বলছেন, ‘আমরা মূলধারার বাইরে থেকে জনগণের পাশে থাকার রাজনীতি করছি।’

ঢাকা-১৯ এখন কার্যত নির্বাচনী মাঠে পরিণত হয়েছে। আগাম প্রচারণা ও জনসংযোগের এ প্রবণতা দেখাচ্ছে, ভোট শুধু প্রতীকের নয়—এটি নেতৃত্ব, গ্রহণযোগ্যতা ও জনসম্পৃক্ততারও লড়াই।

Post a Comment

0 Comments