রাউফুর রহমান পরাগ : আশুলিয়ার দক্ষিণ শিমুলিয়ায় যুবদল নেতা মাসুদ পারভেজের জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে কিছু প্রভাবশালী ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে। মাসুদ পারভেজ ঢাকা জেলা যুবদলের সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিএনপি'র সাথে জড়িত থাকার কারণে তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আজহারুল ইসলাম সুরুজের নেতৃত্বে ভূমি দস্যুরা মাসুদ পারভেজ এর পৈত্রিক সম্পত্তি ১৯৪ শতাংশ জমি হিজড়াদের পূর্ণবাসন কেন্দ্রের নামে জোর করে দখল করে নেয়।
জানা যায় আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের দক্ষণিন শিমুলিয়া মৌজস্থ সিএস ৪৬৩,এসএ ৬৪৫ এবং আরএস ৩১৯ খতিয়ানে সিএস ও এসএ দাগ নং ৩৩৯, ৪৩৭,৫১৫,৫১৭,৫২৭ আরএস ৪৫২,৪৫৭,৪৯৮,৭৫১ ও ৮০৩ নং দাগের মোট জমির পরিমাণ ১৯৪ শতাংশ এসএ রেকর্ডয়ীয় মালিকদের মধ্যে পারিবারিক ঘরোয়া আপোষ বন্টনে নালিশী দাগের সম্পত্তি নিপেন্দ্র কুমার চক্রবর্তী গংরা প্রান্ত হয়ে ভোগদখলে থাকা অবস্থায় ০১/১০/১৯৭৩ ইং তারিখে সাভার সাব রেজিস্ট্রার অফিসে ১৮৮৮৬ নং দলিল মূল্যে গংরা নিজ নামে নাম জারি ও জমা ভাগ করে খাজনা পরিশোধ করেন।
এক স্ত্রী সুরাইয়া ইয়াসমিন, তিন ছেলে মাসুদ পারভেজ, আশিকুর রহমান ( রাসেল), রিফাত জামান ( সোহেল) ও এক মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকাকে রেখে মৃত্যুবরণ করেন হাজী ইব্রাহীম মিয়া। ওই সম্পত্তি ২০২২ সালে খাজনা দিতে গেলে তা 'ক' তফসিলে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে বলে জানতে পারেন।
এর পরই ১৩/০৪/২০২২ ইং তারিখে তারা সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে একটি রিট পিটিশন মামলা নং ৪৮৮০/২০২২ দায়ের করেন।
এদিকে সরেজমিনে দক্ষিণ শিমুলিয়া মৌজস্থ দখলকৃত জমিনে গিয়ে দেখা যায় পূরো জমি বাউন্ডারী ওয়াল দিয়ে ঘেরা এবং বাউন্ডারির ভেতরে বেশ কয়েকটি পাকা দালান ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
যা কিনা বৃষ্টি হিজরা, রেবেকা হিজরা, রাশেদা হিজরা, বণ্যা হিজরা এবং শিখা হিজরা আইনের তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে বিগত সৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকার এর আমলে সাবেক ডিএমপি কমিশনারের হাবিবুর রহমান এর নিদে'শনায় স্হাপনা নিমা'ন করে।
কিন্তু সবচেয়ে আশ্চর্য্য এবং চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যায় বৃষ্টি হিজরা, রেবেকা হিজরা, রাশেদা হিজরা, বণ্যা হিজরা, শিখা হিজরা এদের প্রত্যাকের বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে সক্রিয় রাজনৈতিক ভূমিকা রয়েছে এবং পল্টন থানাতে এদের বিরুদ্ধে মামলা চলমান আছে।
গোপনসূত্রে এবং তথ্য অনুসন্ধ্যানে জানা যায় আওয়ামী লীগ শাসনামলে ডিআইজি হাবিবুর রহমান এর নিয়ন্ত্রণে এই হিজরা সিন্ডিকেট সারাদেশ ব্যাপি পরিচালিত হতো।
ভূক্তোভোগি ঢাকা জেলা যুবদলের সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ এর মুঠোফোনে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন বাবার ক্রয়সূত্রে তারা জমির মালিকানা হয়ে তারা বাউন্ডারি ওয়াল এবং ভিতরে পাকা স্হাপনার জন্য ফাউন্ডেশন পিলার নির্মাণ করে পূরো জমি শান্তিপূর্ণভাবেই ভোগ দখল করে আসছিলেন কিন্তু হঠাৎ রেবেকা নামের এক হিজরা এবং শিমুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুরুজের নির্দেশে ওই জমির বাউন্ডারি ওয়াল এবং ফাউন্ডেশন পিলার ভেঙে ফেলে স্থাপণা নির্মান করেন। অথচ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন মামলার আদেশের আলোকে ওই জমিতে কোন প্রকার কাজ করা থেকে বিরত থাকার আদেশ জারি করা হয়। এই আদেশ অমান্য করে বিগত ১০/৬/২০২৩ ইং তারিখে বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙে দিয়ে পুরো জমির কাজ শুরু করে তারা।
পরে সেখানে হিজরা সম্প্রদায়কে পাহারাদার হিসেবে রাখা হয়।
অনুসন্ধ্যানে আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যায় শিমুলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিন শিমুলিয়া মৌজস্থ হিজরা সম্প্রদায় কর্তৃক দখলকৃত ১৯৪ শতাংশের যে বাড়িটির দারোয়ান বা নিরাপত্তায় বলিস্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি মোঃ নরু মিয়া (সম্ভু) ৪৫ চৌকিদার, পিতাঃ মৃত রজ্জব হোসেন, গ্রামঃ শিমুলিয়া বাদ্যকর পাড়া,আশুলিয়া, সাভার, ঢাকা।
জনমনে প্রশ্ন তিনি একজন সরকারি ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার হয়ে ব্যক্তিগত মালিকানা সম্পত্তির চৌকস প্রহরীর দায়িত্ব পালন করছেন কোন সার্থে এবং কাদের হুকুমে ও ইন্ধনে এমন প্রশ্নের উত্তর খুজতে আমাদের পক্ষ থেকে চৌকিদার সন্তুকে মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন আমাকে সুরুজ চেয়ারম্যান এখানে বসিয়েছে আমি ওনার লোক হিসাবে আছি।
এছাড়াও বৃষ্টি হিজরাকে জমি দখল বিষয়ে মুঠোফোন জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান এর মাধ্যমে পেয়েছি আর কিছু বলতে পারবো না।
0 Comments