নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় কাটসিনা রাজ্যে ফজরের নামাজ চলাকালে ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২৭ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসন ও হাসপাতালের কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মঙ্গলবার ভোররাত প্রায় চারটার দিকে মালুমফাশি এলাকার প্রত্যন্ত গ্রাম উঙ্গুয়ান মানতাউয়ের মসজিদে মুসল্লিরা ফজরের নামাজ আদায় করছিলেন। এ সময় হঠাৎ সশস্ত্র ডাকাতদের একটি দল মসজিদে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালায়। মুহূর্তের মধ্যেই নামাজে অংশ নেওয়া বহু মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আতঙ্কিত মুসল্লিরা প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলেও অনেকেই হামলাকারীদের গুলিতে গুরুতর আহত হন।
এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনো পক্ষ বা সন্ত্রাসী সংগঠন দায় স্বীকার করেনি। তবে নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিম ও উত্তর-মধ্য অঞ্চলে এর আগেও এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে স্থানীয় পশুপালক ও কৃষকদের মধ্যে জমি ও পানির সীমিত প্রবেশাধিকারের কারণে দীর্ঘদিন ধরে সংঘাত চলছে। প্রায়শই এসব সংঘর্ষ প্রাণঘাতী হামলায় রূপ নেয়। গত জুনেই উত্তর-মধ্য নাইজেরিয়ার একটি গ্রামে একই ধরনের হামলায় একশোরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিলেন।
কাটসিনা রাজ্যের নিরাপত্তা কমিশনার নাসির মুয়াজু জানান, হামলার পরপরই সেনা ও পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে, যাতে নতুন করে আর কোনো হামলা না ঘটে। তিনি আরও বলেন, বর্ষাকালে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো প্রায়ই স্থানীয় খামারের ভেতর লুকিয়ে থেকে হঠাৎ করে গ্রামবাসীর ওপর হামলা চালায়।
এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয়রা এমন নৃশংস হামলা থেকে মুক্তি পেতে সরকারের কাছে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
0 Comments