রাজধানীর সাভারে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। অভিযোগ উঠেছে, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন বাবুর বাড়িতে কর্মরত কেয়ারটেকার আরিফ নামের এক ব্যক্তি দীর্ঘ ৬ মাস ধরে এক তরুণীকে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণ করেছে।
ভুক্তভোগী তরুণী অবশেষে সাহস করে আইনের দ্বারস্থ হন। কিন্তু থানায় অভিযোগ করতে গেলে তাকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হয় এবং আপোষের জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। তরুণীর ভাষ্য অনুযায়ী, কিছু রাজনৈতিক নেতাকর্মী এবং সাংবাদিক পরিচয়ে কয়েকজন ব্যক্তি তাকে ন্যায়বিচারের পরিবর্তে চুপ থাকতে ও সমঝোতায় আসতে বাধ্য করার চেষ্টা করেছেন।
এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হলেও, প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। বরং, ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুক্তভোগীর পাশে দাঁড়ানো ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু হয়। ফেসবুকে ভুয়া আইডি ব্যবহার করে গুজব ছড়ানো, চরিত্র হনন ও কটূক্তি চালানো হয়।
ভুক্তভোগী তরুণীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট। তিনি বর্তমানে মারাত্মক মানসিক আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তার বক্তব্য—
“দীর্ঘ ছয় মাস ধরে নির্যাতনের শিকার হয়েছি। এখন যখন অভিযোগ করেছি, তখন উল্টো আমাকে ভীতিপ্রদর্শন করা হচ্ছে।”
সামাজিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের ঘটনা কেবল ভুক্তভোগীর নয়, গোটা সমাজের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের নিরপেক্ষ তদন্ত ছাড়া ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।
জাতির প্রশ্ন
যখন গণমাধ্যম সত্য প্রকাশের বদলে নীরব থাকে বা টাকা ও প্রভাবের কাছে বিক্রি হয়ে যায়, তখন ভুক্তভোগী যাবে কোথায়?
যারা নির্যাতনের পক্ষে সাফাই গাইছে তারা কি প্রকৃত সাংবাদিক, নাকি হলুদ সাংবাদিক?
আর যারা ন্যায়বিচারের দাবিতে কলম ধরছে, তারা কি সত্যিই ‘হলুদ’ – নাকি সমাজের আসল বিবেক?
এই প্রশ্ন এখন সাধারণ মানুষের কাছে উন্মুক্ত।
https://dailyalokitodesh.com/
0 Comments